ক্যামেরা ভাঙচুর, মারধর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ।
এটিএন বাংলা কুষ্টিয়ার ক্যামেরাপার্সন হাসিবের উপরে হামলা ক্যামেরা ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশ গ্রামে দায়িত্ব পালনকালে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হামলা করেন পার্শ্ববর্তী কুশলীবাসা গ্রামের টেংরা শেখের ছেলে শাহিন শেখ (৪০)।
এই ঘটনায় এটিএন বাংলা কুষ্টিয়ার ক্যামেরাপার্সন হাসিব বাদী হয়ে কুমারখালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১২, তারিখ-২৪/০৮/২০১৯ ইং। মামলা দায়েরের পর কুমারখালী থানার সেকেন্ড অফিসার শেখ খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে বাঁশগ্রাম ক্যাম্পের আইসি লিপন সরকারসহ পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত শাহীনকে আটক করেছে কুমারখালী থানা পুলিশ।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর আনুমানিক বারোটার দিকে এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন হাসিব বাঁশ গ্রামে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় শাহিন শেখসহ অজ্ঞাতনামা তার কয়েকজন সহযোগী হাসিবের উপরে হামলা চালায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা এটিএন বাংলার একটি ভিডিও ক্যামেরা ভাঙচুর করে, সাথে থাকা নগদ টাকা ছিনতাই সহ ক্যামেরাপারসনকে বেধড়ক মারপিট করেন।
সংবাদটি কুষ্টিয়া শহরে সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ক্যামেরাপার্সন হাসিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় এজাহার দায়ের করলে কুমারখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাহীন শেখকে আটক করে।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ও এডিটর’স ফোরামের সাংবাদিকরা। তারা বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া ব্যক্তিদের অবশ্যই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। যে ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে এলাকাতে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বাঁশ গ্রাম ও কুসলিবাসা এলাকার স্থানীয় অনেকেই জানান, এই শাহিন শেখ একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। এলাকাবাসীর দাবি শাহীনকে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শাহিনের অনুসারী যারা এলাকাতে প্রভাব বিস্তার করে চলাফেরা করে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
অভিযোগ রয়েছে এই শাহিন শেখ, সাম্প্রতিক সময়ে ক্রসফায়ারে নিহত ওবায়দুর রহমান লালের ভাই এমদাদুলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। অনেকেই বলছেন সে মারা যাওয়ার পর এমদাদের অবৈধ অস্ত্রের রাজ্যের ভান্ডারে দেখাশোনা এই শাহিন শেখ করে থাকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো আরও গুরুতর তথ্য পাওয়া যেতে পারে।