No Result
View All Result
Kushtia 24
  • প্রচ্ছদ
  • কুষ্টিয়া
  • বাংলাদেশ
  • খুলনা
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবনযাপন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • প্রচ্ছদ
  • কুষ্টিয়া
  • বাংলাদেশ
  • খুলনা
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবনযাপন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
No Result
View All Result
Kushtia 24
No Result
View All Result
প্রচ্ছদ সফলতার গল্প

এক ব্যবসায়িক কিংবদন্তি জয়নুল হক সিকদার’র গল্প (সিকদার গ্রুপ)

in সফলতার গল্প
A A
0
স্ত্রীর সঙ্গে জয়নুল হক সিকদার

স্ত্রীর সঙ্গে জয়নুল হক সিকদার

Share on FacebookShare on Twitter

কঠিন রাশভারী মানুষ। অনেকটা হাঁটলে কেঁপে ওঠে চারপাশ। ৮৭ বছর বয়সেও মাসের ৩০ দিন অফিস করেন তিনি। দুপুরের খাবারের পরও বিশ্রাম নেন না। দেশ-বিদেশের ব্যবসা সামাল দেন নিজেই। সহকর্মীরা বিস্ময় নিয়ে দেখেন তার কাজের ব্যাপ্তি। কাজপ্রিয় এই মানুষটির নাম জয়নুল হক সিকদার। সবাই তাকে সিকদার সাহেব হিসেবেই জানেন। এরই মধ্যে তিনি ব্যাংক-শিল্প-রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল।

লিখেছেন : লাকমিনা জেসমিন সোমা। ছবি তুলেছেন : আবু তাহের খোকন

দুপুর ১২টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির হলোম আমরা। সেখান থেকে প্রথম অভিযান সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ‘আর অ্যান্ড আর এভিয়েশন’-এ। জয়নুল হক সিকদারের এই এভিয়েশন কোম্পানিটি বর্তমানে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন করপোরেট সেবা দিচ্ছে। এখান থেকেই হেলিকপ্টারযোগে আমরা রওনা হলাম শরীয়তপুরের দিকে। কিন্তু তার আগে সবচেয়ে শুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল রায়েরবাজারের সিকদার মেডিকেল কলেজ চত্বরে। সেখানকার হেলিপ্যাডে ল্যান্ড করল আমাদের আকাশযান। একদল লোকের সঙ্গে এগিয়ে এলেন জয়নুল হক সিকদার। পরনে কালো প্রিন্স স্যুট। চোখে কালো সানগ্লাস। সঙ্গে স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার। দুজন দুজনের হাত ধরেই উঠে এলেন হেলিকপ্টারে। ১২টা ৩৫ মিনিটে আমরা রওনা হলাম শরীয়তপুরের দিকে। শুরু হলো কথাবার্তা। রাশভারী মানুষ হলেও কাউকে একবার পছন্দ করলে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেন। রসিকতাও করেন। সে কারণেই হয়তো গল্পের মাঝে হঠাৎ নিজেদের ৬২ বছরের দাম্পত্য জীবন নিয়ে বললেন, ‘বয়স হলে তাতে কী, আমরা মনে করি, আমরা এখনো স্টুডেন্ট লাইফেই আছি।’

হেলিকপ্টারে যেতে যেতে সিকদার সাহেব তার স্কুলজীবন, সেনাবাহিনীতে যোগদান ও ব্যবসা শুরুর সেই মজার ঘটনাটি শোনালেন। জয়নুল হকের জন্ম ১৫ মে, ১৯৩৩ সালে, ভারতের আসামে। বাবা মখফর উদ্দিন সিকদার ছিলেন প্রথমে ফরেস্টার, পরে নামজাদা ঠিকাদার। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার। স্কুলে পড়ার সময় বাবার কাছ থেকে ২-১ টাকা থেকে শুরু করে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত নিতেন। যদিও তখন টাকার মূল্য ছিল বেশ। সে সময় ১ টাকায় এক মণ চাল পাওয়া যেত। এভাবেই জয়নুল হক সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় একবার বাবার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে চুপটি করে কাঠের ব্যবসা শুরু করলেন। কাঠ কিনে এনে নদীর পাড়ে রাখতেন। তারপর ফের সেগুলো খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিতেন। তখন আসামে প্রায়ই মেলা হতো। আর মেলা হলেই চার-পাঁচটি দোকানের সঙ্গে চুক্তি করতেন কিশোর জয়নুল।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসাটা আমার নেশার মতো লাগত। মেলা এলে চার-পাঁচটি দোকানে লটারির টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করতাম। জিনিস কিনে দিতাম সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার। ওই টিকিট বেঁচে বেশ ভালো ইনকাম হতো। যদিও আমার বাবা শুনে খুব রাগারাগি করতেন। সে জন্য এক প্রকার চুরি করেই কাজটি করতাম।’ হেলিকপ্টারের জানালায় তাকিয়ে মনোয়ারা সিকদারও আপন মনে শুনছিলেন স্বামীর সেই গল্প। সোনালি পাড়ের গাঢ় নীলের ওপর বেগুনি ছাপার সিল্ক শাড়ি পরা মনোয়ারা সিকদারকে দেখলে বোঝাই যায়, বেশ সুন্দরী ছিলেন এই মমতাময়ী নারী।

১২টা ৫৬ মিনিটে আমাদের হেলিকপ্টার এসে পৌঁছল শরীয়তপুরে। গ্রামের নাম মধুপুর। ছায়াঢাকা-পাখি ডাকা সবুজ এ গ্রামটিতে নেমে প্রথমেই চোখে পড়ল ‘মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল’। শুনলাম, এটি এখন চালুর অপেক্ষায়। সিকদার সাহেব নিজ গ্রামে নেমেই প্রথমে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করলেন। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে রওনা হলেন পাশের গ্রামে। স্ত্রীকে নিয়ে এবার রামভদ্রপুরে স্ত্রীর বাবা-মা অর্থাৎ তার শ্বশুর-শাশুড়ির কবর জিয়ারত করলেন। যাওয়ার পথে দেখলাম, একটি অজপাড়াগাঁকেও কীভাবে বদলে দেওয়া যায়। আসার পথে সেগুলোর বর্ণনা শুনলাম তার মুখেই।

‘একসময় এই গ্রামে কোনো পাকা পথঘাট ছিল না। রিকশা-ভ্যান চলত না। যানবাহন বলতে ছিল কেবল লঞ্চ-স্টিমার। বর্ষার দিনে মানুষ জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চলত। নদী সাঁতরে স্কুলে যেত’— বললেন সিকদার সাহেব।

আজ সেখানে স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। নিজ খরচে পাকা রাস্তাঘাট বানিয়েছেন সিকদার সাহেব। ১৩-১৪টি স্কুল ও অর্ধশতাধিক মসজিদ তৈরিতে অবদান রেখেছেন তিনি। এমনকি তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার ট্রেনিং স্কুল এবং বিমানবন্দর। আমরা প্রথমে গেলাম বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তুত ল্যান্ড পরিদর্শনে। বাংলাদেশে, তা-ও  আবার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ব্যক্তি-উদ্যোগে বিমানবন্দর হবে— ভাবতেই কেমন যেন স্বপ্নের মতো মনে হলো। এ দুর্লভ স্বপ্নের নায়ক বললেন, ‘আমাদের দেশে হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণের সুযোগ খুব কম। কাউকে এ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হলে বিদেশে যেতে হয়। আর সে কারণেই এখানে একটি হেলিকপ্টার ট্রেনিং স্কুল করছি। তাদের ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির জন্য বিমানবন্দর করছি। তা ছাড়া বিমানবন্দরটি চালু করতে পারলে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছি।’ প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের ৩ হাজার ৩০০ ফুট লম্বা রানওয়ে আর দুই পাশে লেকের দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা এবার চলে এলাম জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ল বঙ্গবন্ধুর একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল। সিকদার গ্রুপের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই এভাবে বঙ্গবন্ধুকে পাওয়া যায়। এ নিয়ে জানতে চাইলে হঠাৎই যেন একাত্তরে ফিরে গেলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। বললেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের কাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প। ‘১৯৪৬ সালে ট্রেনে করে কলকাতা যাচ্ছিলাম। ওই ট্রেনে বঙ্গবন্ধুও যাচ্ছিলেন। তখন তাকে চিনি না। একজন সাদা পোশাকে এসে আমাকে সার্চ করল। আমি বললাম, আপনি পুলিশ না, কিছু না, কিন্তু এমন করছেন কেন। সে বলল, এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব। পরে একজনের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, কার জন্য এমন ব্যবস্থা? তিনি কে? উত্তরে লোকটি বলল, তিনি শেখ মুজিব। সেই প্রথম মুজিব ভাইকে দেখলাম। এরপর ১৯৫০ সালে একটি কাজে আতাউর রহমানের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে ভাসানী সাহেবও ছিলেন। আর তাদের সঙ্গে বসে আলাপ করছিলেন শেখ সাহেব। আমাকে দেখে হাসলেন। পরিচিত হলেন। বললেন, আমরা আওয়ামী লীগ গঠন করছি। আমি বললাম, এটি আবার কোন লীগ? এর পর থেকে আস্তে আস্তে মুজিব ভাইয়ের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হলো।’ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরের মতো লড়াই করেছেন জয়নুল হক। প্রায় ৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধার একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। গড়ে তুলেছিলেন আক্কাস বাহিনী। এ বাহিনীর রহস্য নিয়ে বললেন, ‘আক্কাস নামে এখানে একটি ছেলে ছিল যে যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা গিয়েছিল। তার নামেই এ বাহিনীর নামকরণ করেছিলাম। আমাদের আন্ডারে চারটি থানা ছিল। পরোক্ষ নয়, প্রত্যক্ষভাবেই যুদ্ধ করেছি আমি। আগস্টের দিকেই শরীয়তপুর স্বাধীন করতে পেরেছিলাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘুরে জানলাম, এখানে কেবল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় না, আছে ব্যবসায় শিক্ষা, ইংরেজি ও আইন বিভাগও। মোট ৭টি বিভাগে এখানে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩০০। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও দরিদ্র শিক্ষার্থীসহ অন্তত আড়াইশ’ শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন। সাগর মণ্ডল নামে ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলছিলেন, ‘গ্রামে বসে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারব কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি।’

পরের গন্তব্য নির্মাণাধীন বৃদ্ধাশ্রম দেখতে যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, টেনিস গ্রাউন্ড, কমার্শিয়াল চাইনিজ রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন অবকাঠামো চোখে পড়ল। এরপর দেখলাম সিকদার সাহেব সুন্দর এ গ্রামটিতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলছেন একটি বৃদ্ধাশ্রম। আশ্রমের সামনে শান বাঁধানো ঘাট, আর স্বচ্ছ পানির পুকুর। গাড়ির জানালা দিয়ে সেটি দেখিয়ে বললেন, বৃদ্ধাশ্রমের মানুষ এখানে গোসল কিংবা বিকালে বসে গল্প করতে পারবেন।

সিকদার সাহেবের স্বপ্নের গ্রাম যেন আমাদেরও নতুন কোনো স্বপ্নে বিভোর করে রেখেছিল। তাই ক্ষুধার রাজ্যে বিচরণ করা হয়নি। এবার বাস্তবতায় ফিরে এসে… খাবার টেবিলে বসতে হলো। এত কিছু দেখার পর এই মানুষটির আতিথেয়তা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। খাবার টেবিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান কী খেলেন, ওসি সাহেব কী নিলেন, হেলিকপ্টারের পাইলটদের সুষম খাবার হলো কিনা— সব যেন তাকেই দেখতে হবে। খাওয়া শেষে হেলিকপ্টার ট্রেনিং স্কুলটি নিয়ে আরও বিস্তারিত বললেন আর অ্যান্ড আর এভিয়েশনের অ্যাডভাইজার ও পাইলট এয়ার কমান্ডার সাকিব মজলিশ এবং  এভিয়েশনের চিফ পাইলট ও ফ্লাইট অপারেশন ডিরেক্টর উইং কমান্ডার এম শফিকুর রহমান (অব.)।

এরপর গ্রামের পাকা রাস্তা ধরে আমাদের গাড়ি চলল ‘পল্লীকুঠি’র দিকে। মধুপুরের আনাচে-কানাচে খেত-খামারে তখন গোধূলিবেলা। পানের বরজে সোনালি রোদ। সিকদার সাহেব হঠাৎ একটি পানের বরজ দেখিয়ে মজা করে বললেন, ‘আমার বেগম সাব পান খান তো, তাই বরজ বানিয়ে দিয়েছি।’ পথে যেতে যেতে একটি বিশাল বর্গাকৃতি লেকে স্বচ্ছ পানিতে চোখ আটকে গেল। গাড়িও এসে থামল সেখানে। শান বাঁধানো ঘাট। লেকের পানিতে ভাসছে কারুকার্যখচিত ময়ূরপঙ্খি নৌকা। আর লেকের মাঝখানে তৈরি করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন গ্লাস হাউস। হাউসের ওপর হেলিপ্যাড। সিকদার সাহেব তার পরিবারকে নিয়ে জল-জোছনা উপভোগের জন্যই এ আয়োজন করছেন। লেকের বিপরীতেই শৈল্পিক রুচিতে তৈরি করেছেন দোতলা ‘পল্লীকুঠি’র। পারিবারিক এ রিসোর্টটি দেখতে বিকালে ভিড় জমান আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ।

সময় ফুরিয়ে আসছিল। তাই আমরাও ফিরে এলাম আগের জায়গায়। চালু হতে যাওয়া মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল ঘুরে দেখলাম। গ্রুপ ছবি তুলে বিদায় নিলাম শরীয়তপুরবাসীর কাছ থেকে। সিকদার সাহেব ও তার স্ত্রীসহ ফের উঠে পড়লাম হেলিকপ্টারে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের আসল রূপ বুঝি দেখা যায় এ হেলিকপ্টার থেকেই। স্বর্গভূমির দিকে তাকিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের আকাশযানটি এবার এসে থামল শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে। কেরানীগঞ্জে সিকদার গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্টটি না দেখলে অনেক কিছুই মিস হতো। জামালগঞ্জেও কোম্পানির এমন আরেকটি পাওয়ার প্লান্ট রয়েছে। খুলনায়ও তৈরি হচ্ছে আরেকটি প্লান্ট। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জে বর্তমান প্লান্টটির পাশেই আরও একটি ১৫০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্লান্ট তৈরির প্রস্তুতি চলছে। শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে এবার আমরা চলে এলাম সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যেখান থেকে তিনি আমাদের সঙ্গে যাত্রা করেছিলেন। অফিসে ঢুকতেই একপাল হরিণের দিকে হাত নাড়িয়ে জানান দিলেন, তিনি এসেছেন। অবাক হয়ে দেখলাম, হরিণগুলোও কান খাড়া করে ঠায় দাঁড়িয়ে গেল। এরপর তিনি অফিসে গিয়ে বসলেন। মনোয়ারা সিকদারও তার নিজস্ব অফিসকক্ষে গেলেন। সারা দিন এত ঘোরাঘুরির পরও  ক্লান্তি স্পর্শ করতে পারেনি তাদের। সিকদার সাহেবও শুরু করলেন ফের। ‘আমার পূর্বপুরুষরা ছিলেন বাংলাদেশের। বরিশাল, ভাগ্যকুল, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দাদার ৭-৮টি তালুক (জমিদারি) ছিল। তখন আমি তো দূরে থাক, বাবারও জন্ম হয়নি। দাদা একদিন ভাগ্যকুলের এক জমিদারের কাছে ৫ হাজার টাকায় একটি তালুক বেচে দিলেন। সে টাকা নিয়ে স্টিমারে করে আসাম চলে গেলেন। সেখানে অভয়পুরের মহারাজাকে ২ টাকা নজরানা দিয়ে ২ হাজার বিঘা জমি পেলেন। শুরু করলেন ফরেস্ট্রির ব্যবসা। বাবাকে ফরেস্টার বানালেন। যদিও কিছু দিন পর বাবা চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেন। বিরাট ঠিকাদার হয়ে গেলেন। তখনকার দিনে ১৯৩৪-৩৫ সালের মধ্যেই বাবার ২-৩ কোটি টাকা জমে গেল। আসামের মধ্যে তিনি এক প্রকার ধনী হয়ে গেলেন। এমন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারেই জন্ম আমার।’

ছেলেবেলা থেকেই ভীষণ ডানপিটে স্বভাবের ছিলেন, নিজেই বললেন। তখন তাকে সবাই ঝুনু নামে ডাকত। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখায় মন ছিল না তার। যখন যেখানে যে স্কুলেই পড়েছেন ছাত্ররা তাকে নেতা মানতেন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় এক ব্রিটিশ পুলিশ পেটানোর মধ্য দিয়েই সবার কাছে এক নামে হয়ে গেলেন ‘ঝুনু ভাই’। তখন ১ টাকায় আধ মণ বাদাম পাওয়া যেত। ‘ঝুনু ভাই’ নেতা হিসেবে প্রতিদিন বিকালে ১ টাকার বাদাম কিনে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বসতেন। আর লোকজনকে খাইয়ে খুশি রাখতেন। এরপর এক বাঙালি স্কুলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বাবা এবার তার ছেলেকে পড়ালেখা করাতে পাঠালেন আলীগড়ে। সেখানেও এক শিক্ষককে ঘুষি মেরে আউট হয়ে গেলেন জয়নুল হক। জিদ ধরলেন হোস্টেলে থেকে পড়বেন। নিরুপায় হয়ে বাবা তাকে বাড়ির কাছে এক হোস্টেলে রাখলেন। সেখানেও অঘটন ঘটিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলেন। এবার তাকে পাঠানো হলো ফরিদপুরে। ১৯৪৮ সালে বরিশাল সেন্টার থেকে পরীক্ষা দিয়ে ম্যাট্রিক পাস করলেন। বাবাকে এসে বললেন, ‘রয়েল ডিভিশনে পাস করেছি। আমাকে ৫০ হাজার টাকা দাও। বাবা বললেন, হোয়াট? হাউ মাচ? আমি বললাম, ফিফটি থাউজেন্ট। তিনি বললেন, এত টাকা দিয়ে কী করবা? বললাম, পাকিস্তানে ঢাকার গ্যান্ডারিয়ায় একটা বাড়ি পেয়েছি। তুমি তো নামজাদা মুসলমান। সে কারণে হয়তো ইন্ডিয়ায় আমাদের থাকা হবে না। তাই বাড়িটা কিনে রাখতে চাই। বাবার সাফ কথা— আমি পাকিস্তান-কবরস্তানে যাব না। তুমি ভালো করে পড়াশোনা কর। আমি বললাম, তুমি টাকা দেবে? বললেন, নো। আমি বললাম— ওকে, থ্যাঙ্ক ইউ, আমি যাচ্ছি।’

মায়ের ট্রাংক ভেঙে দুটি মোহর, নিজের ক্যামেরা আর হাতের চারটি আংটি নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন জয়নুল হক সিকদার। ছোটবেলা থেকেই ফটোগ্রাফিতে শখ ছিল। এমনকি ছবি ওয়াশের জন্য নিজেই ডার্ক রুম বানিয়ে নিয়েছিলেন। ঢাকায় এসে চাকরির জন্য ছুটে বেড়ালেন সিকদার সাহেব। প্রথমে গেলেন আমির হোসেন খান নামে এক চাচার কাছে। তিনি ছিলেন পুলিশের আইজি। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হলো আইজি দোহার কাছে। সাব-ইনসপেক্টর পদবিতে চাকরি করতে রাজি হলেন না জয়নুল। গেলেন আর্মিতে। সেখানেও কমিশনে লোক নেওয়ার সময় শেষ। মনের দুঃখে ফিরেই আসছিলেন। কিন্তু শেষ সময় মোহাম্মদ আহমদ নামে এক মেজরের কাছে নিজের ফুটবল খেলার দক্ষতা তুলে ধরে শেষ সুযোগ পেলেন। ‘মেজর বললেন, ফুটবল প্লেয়ার হাম লোগ কো জরুরাত হেই।’ তারপর বিকালে গ্রাউন্ডে আসতে বললেন। খেলার শুরুতে সেন্টার হাফ থেকে সরাসরি একটি বল মারলেন ঝুনু। শোঁ করে গোলে ঢুকে গেল। ক্যাপ্টেন তাকে ঘাড়ে করে নাচতে শুরু করলেন। পরে রিক্রুট করে নিলেন। কাজ ছিল সকালে-বিকালে দৌড়ানো। আধ সের করে দুধ আর কিশমিশ খাওয়া।

সেখানেও বেশি দিন ভালো থাকতে পারলেন না ঝুনু। খেলার মধ্যে এক ক্যাপ্টেনকে মেরে ফুটবল খেলাও ছেড়ে দিলেন। কিছু দিন পর বাবা এসে হাজির হলেন। ছেলের কথা ছয় মাসের মধ্যেই সত্যি হলো। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে আসাম থেকে বিতাড়িত হয়ে এলেন সিকদার সাহেবের বাবা। ছেলেকে নিয়ে যেতে চাইলেন। একজন ব্রিগেডিয়ার জয়নুলকে ডাকলেন। বাবার মুখে সব কথা শুনে বললেন, তোমার বয়স অল্প, তারপর আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছ। তোমাকে আমরা আর রাখতে পারব না। বাবা বললেন, তুমি ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিলে, আমি তোমাকে ১০ লাখ টাকা দেব। ফিরে চল। জয়নুল হক কোনো কিছুতেই রাজি হলেন না। শেষ পর্যন্ত ব্রিগেডিয়ার তাকে রেখে দিতে বাধ্য হলেন। বললেন, আপনার ছেলেকে রেখে যান, আগামী বছর তাকে কমিশনে পাঠিয়ে দেব। যদিও শেষ মুহূর্তে ধরাবাঁধা নিয়মের ভয়ে কমিশনে গেলেন না সিকদার সাহেব।

আর্মিতে থাকা অবস্থায়ই হঠাৎ চিন্তা ঢুকল লন্ডন যাবেন। পাসপোর্ট-ভিসাও বানালেন। সপ্তাহে ১৪ পাউন্ডের চাকরিও জোটালেন। কিন্তু আবারও বাবার সেই নিষেধাজ্ঞা। ১৯৫৬ সালে জোর করে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। মা-ও তাকে লন্ডন যেতে দিতে চাইলেন না। জয়নুল সিকদার সব মিলিয়ে ১২ বছর আর্মিতে চাকরি করেছেন। সেখানে চাকরির সময় ’৫৭ সালে এক অদ্ভুত ফকিরের (বুজুর্গ) সঙ্গে দেখা মেলে তার। যদিও তিনি কখনো ফকির-ফকরায় বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু এক সহকর্মীর পাল্লায় পড়ে তার কাছে গেলেন। ফকির আবার লোকজনের কাছ থেকে যা টাকা পেত জয়নুল সাহেবের হাতে দিতেন। যদিও একটি টাকাও নিতেন না জয়নুল। ফকির একদিন জোর করে জয়নুলকে নিয়ে গেলেন নারায়ণগঞ্জে, ভিক্টোরিয়া পার্কে। সেখান থেকে নদীর পাড়ে। তারপর জানতে চাইলেন, আপনি কী চান? আখিরাত না দুনিয়া? ফকিরের এমন কাণ্ড-কারখানায় রাগে-ক্ষোভে বিড়বিড় করতে লাগলেন সিকদার সাহেব। তার পরও ফকিরের জোরাজুরিতে বললেন, আখিরাত চাই। ফকির বললেন, ঠিক আছে। তুমি দুনিয়া পাবে, আখিরাতও পাবে। খুব শিগগিরই তোমার প্রমোশন হবে। কিন্তু তুমি নেবে না। ব্যবসা করবে। তুমি চাকরি ছেড়ে বিজনেস করবে। গাড়ি কিনবে। মনে মনে টাউট বলতে বলতে গভীর রাতে বাড়ি ফিরলেন সিকদার সাহেব। কিন্তু এরপর কেন যেন সব কিছুই ফকিরের ভবিষ্যদ্বাণীর মতোই ঘটতে লাগল। সিকদার সাহেবের ভাষায়— ‘সেই পাকিস্তান আমলে ট্রাকের ব্যবসা শুরু করলাম। প্রথমে চকবাজারে মদিনা ব্রিকস ফ্যাক্টরি থেকে একটি পুরনো ট্রাক ৫ হাজার ১০০ টাকায় কিনলাম। এক বন্ধুর কাছে বউয়ের গহনা বন্ধক রেখে ১ হাজার টাকা পেলাম। বাকিটাও নানা কাহিনী-কেচ্ছা করে জোগাড় হলো। কিন্তু পুরনো ট্রাক বার বার মেরামত করতে করতে সব মিলিয়ে ৮ হাজার টাকা দেনা হলাম। এরপর গাড়ি বিক্রি করে লন্ডন চলে যেতে চাইলাম। শেষ পর্যন্ত একজনের কথায় বেচলাম না। এরপর ওই পাকিস্তান আমলেই চার-পাঁচটি ট্রাক হয়ে গেল। ট্রাকের ব্যবসা আর ঠিকাদারি দুটিই একসঙ্গে চলতে থাকল। মুক্তিযুদ্ধের আগেই গাড়ির পাশাপাশি চারটি বাড়িরও মালিক হলাম। এরপর যুদ্ধ করলাম। স্বাধীনতার পর প্রথমে না চাইলেও পরে সবার অনুরোধে আবার একই ব্যবসা শুরু করলাম। কিন্তু শেখ সাহেবকে মারার পর আর দেশে থাকতে মন চাইল না। চলে গেলাম আমেরিকায়।’ বললাম, যে লোকটা দেশ স্বাধীন করেছে তাকে হত্যা করা হয়েছে, এ দেশে থাকব না। আমেরিকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার মাধ্যমে ব্যাপক সফলতা পেলেন সিকদার সাহেব। পাশাপাশি কার ওয়াশের ব্যবসা শুরু করলেন। এক-দেড়শ’ মিলিয়নের ১০-১২টি কার ওয়াশ কারখানা হলো তার। আমেরিকা বনাম বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন তিনি। ’৮৩-তে ন্যাশনাল ব্যাংকের ডিরেক্টর হলেন। বাংলাদেশেও একে একে ব্যাংক, গার্মেন্ট, রিয়েল স্টেট, এভিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করলেন তিনি। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে তারাও সবাই এখন দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বর্তমানে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইউএইউ, পোল্যান্ড, ফ্রান্স ও আমেরিকায় সিকদার গ্রুপের ব্যবসা রয়েছে। মোটা দাগে রিয়েল এস্টেট, চিকিৎসা ও শিক্ষা, ব্যাংকিং, এভিয়েশন, আবাসিক হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও গার্মেন্ট সেক্টরে তার ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সিকদার গ্রুপের কই হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এখন বিশ্বখ্যাত। সিকদার গ্রুপকে নিয়ে খুলনার মংলায় ২০৫ একর জমির ওপর হচ্ছে দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক জোন। এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত সিকদার রি-রোলিং মিলস এখন সবার চেনা। বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বান্দরবানে ২০ একর জমির ওপর হচ্ছে চন্দ্রপাহাড় রিসোর্ট। কক্সবাজারে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ভিলেজ। আবাসন ব্যবসার আওতায় ১০ মিলিয়ন টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডিতে হচ্ছে সুবিশাল রিভার প্রজেক্ট। মহাখালীতে হচ্ছে লেক ভিল। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় মংলা পোর্টে নতুন দুটি জেটির দায়িত্বও পেয়েছে কোম্পানিটি। সমৃদ্ধ এই জীবনে কী পাননি— এমন প্রশ্নের জবাবে সিকদার সাহেব একটু হাসলেন। বললেন, ‘আসামের কথা খুব মনে পড়ে। আর আমেরিকায় বসে মিস করি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, বন্ধুদের আড্ডা, আর ধুম-ধাড়াক্কা গল্প। ওখানে তো সন্ধ্যা নামলেই যে যার মতো।’ গান-টান খুব একটা পছন্দ করেন না জয়নুল হক। শুক্রবারসহ প্রতিদিনই অফিস করেন। অবসর কাটান গল্প করেই। কাজ না থাকলে আল্লাহকে ডাকেন।

বাংলাদেশে কীভাবে আরও ব্যবসার সম্প্রসারণ হতে পারে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কিংবা যে কোনো দেশে যে কোনো কাজেই ইফ ইউ ক্যান বি এ গুড অপারেটর, দেন ইউ ক্যান শাইন।’ তিনি বলেন, ‘আমি আমেরিকায় গিয়ে প্রথম যে ব্যবসা কিনেছিলাম তা ছিল ব্যাংকগ্রাফসি। সেটা নিয়ে প্রচুর খাটতাম। এর পেছনে খেটেই আমি কয়েক বিলিয়ন বানিয়ে ফেলেছিলাম।’

নতুনদের জন্য তার পরামর্শ— প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক খেটেছি। নিজে হাতে ডেইলি ৬০-৭০টি কার ভ্যাকিউম করেছি। আমেরিকানরা অবাক হয়ে দেখেছে, দোকানের মালিক নিজেই কীভাবে কার ওয়াশ করছে।’ সিকদার সাহেবের আজকের জীবনে সবচেয়ে ভালোলাগার বিষয় হলো কাউকে উপকার করতে পারা। তিনি বলেন, ‘আজ যদি আমি কোনো সৎ মানুষকে কিছু টাকা দিয়ে কিংবা কোনোভাবে একটু উপকার করতে পারি তবেই শান্তি পাই। ভালোলাগাটা কেবল এক দিন নয়, এক সপ্তাহ পর্যন্ত থেকে যায়।’ কোনো খারাপ লাগাকে পাত্তা দিতে চান না তিনি। সব সময় ইতিবাচক চিন্তাই করেন সফল এই মানুষটি। জীবনের এই প্রান্তে এসে এখনো কী নিয়ে স্বপ্ন দেখেন— বলতেই হাসলেন জয়নুল সিকদার। বললেন, ‘আমি অনেক অনেক রাত আল্লাহকে ডেকেছি। তপস্যা করেছি একটা আলাদিনের ল্যাম্পের জন্য। যে ল্যাম্প পেলে বাংলাদেশকে আমি সোনা দিয়ে মুড়ে দিতাম। আল্লাহ হয়তো আমার ডাক শুনেছেন। আলাদিনের ল্যাম্প না দিলেও আমাকে অল্প সময়ে অনেক কিছু দিয়েছেন— ব্যবসা ক্ষেত্রে যেখানে হাত দিয়েছি সেখানেই সফল হয়েছি। এখন আর আল্লাহর কাছে টাকা চাই না। চাই কেবল আরও বেশি বেশি মানুষের উপকার করতে। সৎ থেকে মৃত্যুবরণ করতে। আর ছেলেমেয়েদের কাছে আমার চাওয়া, তারাও যেন সত্ভাবে রোজগার করে। ভালো মানুষ হয়।

রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আপনার চাওয়া কী— জানতে চাইলেই কিছুটা গম্ভীর হয়ে গেলেন সিকদার সাহেব। খুব একটা কিছু বলতে চাইলেন না দেশের জন্য যুদ্ধ করা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। আলাপ শেষ হতে না হতেই ফের নাস্তা চলে এলো টেবিলে। গরম চিকেন ফ্রাই খেতে খেতে হাত তুলে বিশাল সিংহের মূর্তিটি দেখালেন সিকদার সাহেব। বললেন, ‘আমি সিংহ রাশি তো, তাই ওখানে ওটা রেখে দিয়েছি।’

একজন সমাজসেবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সফল উদ্যোক্তার জীবনের এমন অনেক অজানা-ই জানা হলো। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামল। অফিস গেটে দুটি গাড়ি এসে থামল। বিদায় নিলাম আমরা। সিকদার সাহেবের গাড়িতে চড়েই অফিসে ফেরার পথে স্বপ্নের মতো মনে হলো সব কিছু। শহরের লাল-নীল-সবুজ বাতিগুলোকেও অনুপ্রেরণা মনে হলো। একজন সফল মানুষের গল্প শুনে মন ভরে গেল।

Share this:

  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to print (Opens in new window)
  • Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • Click to share on Skype (Opens in new window)
  • Click to email this to a friend (Opens in new window)
  • Click to share on Reddit (Opens in new window)
  • Click to share on Tumblr (Opens in new window)
  • Click to share on Pocket (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)

Related

Previous Post

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ, কাবিন দেখিয়ে থানা থেকে রেহাই

Next Post

কুষ্টিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার প্রতিবাদে ফার্মেসী বন্ধ রেখে প্রতিবাদ

Related Posts

উদ্যোক্তা

রিক্সা ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা থেকে শীর্ষ সোনা ব্যবসায়ী

উদ্যোক্তা

বাংলাদেশে তৈরী প্রাণ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনের গল্প

উদ্যোক্তা

৩৬০ টাকার জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়নি, আজ দেশ সেরা শিল্পপতি

Next Post

কুষ্টিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার প্রতিবাদে ফার্মেসী বন্ধ রেখে প্রতিবাদ

Discussion about this post

No Result
View All Result

লাইক দিন । শেয়ার করুন

সর্বশেষ খবর

  • কুষ্টিয়া করোনা আপডেট: আক্রান্ত হাজার ছাড়াল | নতুন শনাক্ত ৪৫ জন
  • কোরবানির পশুর হাট: কুষ্টিয়ায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি | বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি
  • কুষ্টিয়া দৌলতপুরের ইউএনও করোনা আক্রান্ত
  • কুষ্টিয়া দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ নিহত
  • করোনা: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অগ্রণী ব্যাংক লকডাউন

পুরনো খবর

January 2021
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
« Jul    
Kushtia 24

© 2018 Kushtia 24

Navigate Site

  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact

Follow Us

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • কুষ্টিয়া
  • বাংলাদেশ
  • খুলনা
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবনযাপন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

© 2018 Kushtia 24

// copy link with text
loading Cancel
Post was not sent - check your email addresses!
Email check failed, please try again
Sorry, your blog cannot share posts by email.