বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে গনধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ওই নারীকে। রোববার রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে এ উদ্ধার ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতের নাম আব্দুল হান্নান। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের জামাত আলী পাড়ের ছেলে।
এদিকে অসহায় নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় তদন্ত ওসি রাজীব হোসেন ও নিয়াজ মোহাম্মদ খানের কাছে তদ্বির করতে দেখা যায়।
সোমবার সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ থানায় অবস্থানকারি উপজেলার ঝায়ামারি গ্রামের এক নারী জানান, তার বাবা ও মা কেউ নেই। তিন বছর আগে তার বিয়ে হলেও স্বামীর আগের স্ত্রী ও সন্তান আছে জেনে সেখানে যাননি তিনি। পরে তাদের তালাক হয়ে যায়।
ওই নারী আরো জানান,ইন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের সঙ্গে কয়েক মাস আগে মোবাইল ফোনে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে হান্নান তাকে ভাল বেতনে চাকুরির প্রস্তাব দিয়ে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে নলতা হাসপাতালের নিকটবর্তী ঘোড়াপোতা গ্রামের পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তোলেন। সেখানে বৃহষ্পতিবার রাতে খুন করার হুমকি দিয়ে আব্দুল হান্নান, একই গ্রামের হাসান পাড়ের ছেলে ফিরোজ হোসেন ও কাজলা গ্রামের নওশের আলীর ঘর জামাই ডাঃ মনিরুজ্জামান মনি তিনজন মিলে ধর্ষণ করে।
মুখ খুললে হত্যার ভয় দেখিয়ে পরপর তিন রাত তারা ধর্ষণ করলেও রোববার রাতে আরো লোকজন নিয়ে এসে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। তার চিৎকারে শহীদুল ইসলাম, আবুল কালাম, মফিজুল ইসলাম, মুদি দোকানদার হাফিজাসহ কয়েকজন গ্রামবাসি ছুটে এলে ফিরোজ ও মনিরুজ্জামান মনি পালিয়ে গেলেও আব্দুল হান্নানকে আটক করে উপপরিদর্শক নিয়াজ মোহাম্মদ খান ও সহকারি উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে সোপর্দ করে।
কাজলা গ্রামের ঘরজামাই ডাঃ মনিরুজ্জামান মনির কাছে জানার জন্য ফোন দিলে তার ব্যবহৃত সব ফোন নম্বার বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক নিয়াজ মোহাম্মাদ খান ওসির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। ওসি হাসান হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বর্তমানে বাহিরে আছি তবে সম্ভবত মামলা হয়েছে। আপনারা থানা থেকে সঠিক তথ্য নিতে পারবেন।
Discussion about this post