দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রাজধানীর সাথে যোগাযোগের প্রধান নৌপথ। ঈদযাত্রা ছাড়াও এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় প্রায় ৭ হাজার বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ফেরী পারাপার হয়ে থাকে। তবে কুষ্টিয়া গামী মানুষ ঈদের এই রুট দিয়ে বেশি পার হয়।
ফেরী সংকট, ঘাটের অব্যবস্থাপনা এবং দালাল চক্রের দৌরাত্বের কারণে সারা বছর দুর্ভোগ শিকার করে নদী পারাপার হতে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটে বসে থাকতে হয় ফেরির অপেক্ষায়। প্রতিবার ঈদ আসলে দুর্ভোগ কয়েকগুন বৃদ্ধি পায় নানা কারনে। সেই জন্য এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত ফেরি ও ফেরি ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারসহ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরী রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি রোরো, ৪টি কে-টাইপ ও ৬টি ইউটিলিটি ফেরী রয়েছে। ঈদের আগেই এই বহরে আরো দুইটি রোরো ফেরী যোগ হবে। ঈদ উপলক্ষে ১৯টি ফেরী চলাচল করবে। ৪ টি ঘাট ভালো আছে। বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবারের ঘরমুখো মানুষ ও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঘাটে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বলেন, ঈদকে ঘিরে হাইওয়েতে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মলম পার্টিসহ সব ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড নির্মূল করতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পাঁচটি অস্থায়ী ক্যাম্প বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। লঞ্চ, ফেরী ঘাট ও বাস টার্মিনালসহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পোষাকধারী পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ র্যাব থাকবে। তারা সার্বক্ষণিক দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরদারি করবেন।