দৌলতপুরে ১৫হাজার গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার গরু মানে ঈদের পশুহাটে বাড়তি চাহিদা। আর এ চাহিদার যোগান দিতে জেলায় এবছর প্রায় দেড় লাখ গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে দৌলতপুরে রয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশী পশু। তাই শেষ মুহর্তে গরুর খামারিদের ব্যস্ততার শেষ নেই। এবারের কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরুর লালন পালন এবং মোটাতাজা করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রয়ের প্রহর গুনছেন খামারিরা। গতবারের লোকসান পুষিয়ে নিতে এবছর গরুর খামারিরা দেশীয় পদ্ধতিতে প্রস্তুত করছেন তাদের গরু।
গরু পালন কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য। আর এ ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবছর জেলায় সাড়ে ১৭ হাজার খামার ও কৃষকের বাড়িতে ১ লাখ ৩৩ হাজার গরুকে মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কুষ্টিয়ার চাহিদা পুরণ করে প্রায় শতকরা ৭০ভাগ গরু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন খামারী ও গরু পালনকারী কৃষকরা বলছেন, গরুর সব রকম খাদ্যে দাম বেড়েছে। তারপরও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পাশর্^বর্তী দেশ ভারত থেকে গরু না আসলে লাভের মুখ দেখবেন তারা। আর এবারও যদি লোকসান গুনতে হয় পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে তাদের। দৌলতপুরের সাদীপুর গ্রামের হুমায়ুন আহমেদ নামে একজন গরুর খামারী জানান, গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে এবছর ১০০টি গরু দেশীয় পদ্ধতিতে হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গরু ঢাকায় পাঠানো শুরু হয়েছে। ভারতীয় গরু আমাদানি না হলে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
দৌলতপুর উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর কোন ক্ষতিকর কেমিকেল ছাড়া মাঠের ঘাস ও স্বাভাবিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। দৌলতপুরের পশুহাটগুলোসহ খামারীদের সার্বিক নজরদারির পাশাপাশি খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা, কাজী নজরুল ইসলাম।
গতবারের ন্যায় এবারও যদি গরু পালনকারী খামারীদের লোকসান গুনতে হয় তা’হলে কুষ্টিয়াসহ দৌলতপুরের খামারীরা আগামীতে গরু পালন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঈদের এ মৌসুমে অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম পশুপালনে ও বিক্রয়ে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন পশু পালনকারী খামারীরা।