ইয়্যুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের সভাপতি সুফি ফারুকের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া-৪ আসনে শুক্র ও শনিবার কুমারখালী-খোকসা আসনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন শীর্ষক প্রচারণা, শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র উদ্ধোধন, দন্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশসহ বেশ কিছু কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচীতে নওশীন, তারিন, সুইটিসহ শোবিজের জনপ্রিয় অনেক মুখকেই দেখা গেছে।
সংসদীয় আসন ৭৮, কুষ্টিয়া-৪ কুমারখালী-খোকসা আসনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন শীর্ষক প্রচারনা করলেন তারকারা। গত শুক্রবার সকালে খোকসা-কুমারখালী এলাকার, কুমারখালী বাসষ্ট্যান্ড,যদুবয়রা ইউনিয়ন, পান্টি ইউনিয়ন, শিলাইদহ ও চাপড়া ইউনিয়নের লালন শাহ মাজার এলাকায় দিনব্যাপী, ইয়্যুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশের সুনাম ধন্য অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, তারিন জাহান, নওশীন নাহারীন মৌ, আদনান ফারুক হিল্লোল, মাজনুন মিজান, আমান রেজা, প্রণীল জাহিদ, সুমা , প্রমা, নমিরা, প্রত্যয় খান, কমল চৌধুরী, আরহাম চৌধুরী ও মুনা চৌধুরী।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীত্বের নির্বাচন , এই নির্বাচনে ভোট নৌকায় ভোট দিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করব। স্থানীয় নৌকার প্রার্থী যে নেতাই হোক, আপনারা যখন ভোট দিবেন তখন তাকাবেন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিক, নৌকা প্রতিকের দিকে, ভোট দিবেন নৌকায়। নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করুন। বর্তমানে দেশের ৭০ ভাগ মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেন তার উপর আস্থা রাখেন। সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কে হচ্ছেন সেটা বড় কথা নয়, আপনারা দয়া করে কোন নেতার প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে নৌকার বাহিরে ভোট দিবেন না। আপনাদের রাগ ক্ষোভ থাকতেই পারে, দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করুন। আসুন আমাদের নিজেদের জন্য কাজ ও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকা প্রতিকে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করি। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও আপনাদের কথা চিন্তা করে দিনে ১৮ ঘন্টা কাজ করেন। আসুন আমরা নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখি।
বক্তারা আরো বলেন আপনারা আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে যে ২০টি কারনে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন:
* শেখ হাসিনার সরকার কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদান করেছে। শেখ হাসিনার উদ্যোগে ২ কোটি ৬ লাখ কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
* শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশের পথে।
* শেখ হাসিনার উদ্যোগে গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে।
* শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়েছেন শেখ হাসিনা।
* শেখ হাসিনার উদ্যোগে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লক্ষ পরিবারের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
* বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ থেকে মাত্র ২২ ভাগে কমিয়ে আনতে সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা।
* শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে ৪ কোটিরও বেশি বই বিনামূল্যে পৌঁছে যাচ্ছে।
* শেখ হাসিনা সাহস দেখিয়ে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করে বিশ্বের বুকে আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
* আমাদের কুষ্টিয়াসহ সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে যেখানে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে।
* শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ৩২ লাখ বয়স্ক মানুষকে ভাতা দিচ্ছেন।
* ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাকে বাস্তবে করে দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা।
* শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ৭২৭টি কৃষি তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
* শেখ হাসিনা স্ব-নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে একটি বাড়ি একটি খামার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
* শেখ হাসিনার উদ্যোগে সারা দেশে প্রতিটি উপজেলাসহ ৫০০টি আধুনিক মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে।
* শেখ হাসিনার সরকারই প্রথমবারের মতো মসজিদের ইমামদের জন্য জাতীয় পে-স্কেলে বেতন-ভাতা চালু করছে।
* একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না এটা শেখ হাসিনার অঙ্গীকার। তাই গরীব ও দুস্থদের জন্য সরকার ঘর বানিয়ে দিচ্ছে।
* নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্বে উদার মানবিকতার মডেল হিসেবে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
* শেখ হাসিনার উদ্যোগে আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। প্রতিটি গ্রামে তিনি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন।
* চাকরিরত মায়েদের বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা।
এদিকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে দন্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইয়্যুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী বাসষ্টান্ডে বিশাল মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ইয়্যুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক কমল চৌধুরীর পরিচালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুমানধন্য অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, তারিন জাহান, নওশীন নাহারীন মৌ, আদনান ফারুক হিল্লোল, মাজনুন মিজান, আমান রেজা, প্রণীল জাহিদ, সুমা , প্রমা, নমিরা, প্রত্যয় খান, আরহাম চৌধুরী ও মুনা চৌধুরী ।
ইয়্যুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম এর যুগ্ম সম্পাদক তারিন জাহান তার বক্তব্যে বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে বিভিন্ন অপকর্ম ও দূর্নীতির জন্য সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারেক রহমানের নির্দেশে লন্ডনে তার পেটুয়া ক্যাডার বাহিনী বাংলাদেশ দূতাবাস ভাংচুর করেছে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেছে অবমাননা করেছে এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানায় অতি দ্রুত দন্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে হবে।
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের নেত্রী তানভীন সুইটি তার বক্তব্যে বলেন ,যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করেন তারা দেশের শক্র জাতির শক্র । তারেক রহমানের মত দেশের শক্রদের দেশে এনে বিচার করতে হবে ।
সভাপতি সুফি ফারুক তার বক্তব্যে বলেন আপনারা জানেন দন্ডিত অপরাধি তারেক রহমান লন্ডনে বসে নানা অপকর্ম করেছে এটা জঘন্যতম অপরাধ এই অপরাধের বিচার হতে হবে। আজ শিল্পি সমাজ মাঠে নেমেছে তাদের রহমানের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করতে। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুকে মানে না। সে বাংলাদেশ মানে তার এ দেশে থাকার কোন আধিকার নেই। আমি খোকশা-কুমারখালীর মানুষের কাছে কৃতঙ্গ যে তারা তারেক রহমানের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এর আগে সুফি ফারুকের পেশাপরামর্শ সভার আওতায় কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মঠমালিয়াট – বানিয়াকান্দি গ্রামে, শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্রর উদ্বোধন করলেন ইয়্যুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার ইয়্যুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী উনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, তারিন জাহান, নওশীন নাহারীন মৌ, নমিরা, আমান রেজা, কমল চৌধুরী। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান শেষে শেলাই প্রশিক্ষনের সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলেন তারকারা।
এ সময় তারকারা মা বোনদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং বলেন, খোকসা-কুমারখালী এলাকায় সুশিক্ষিত-দক্ষ,কর্মক্ষম,রুচিশীল একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করছে আমাদের ইয়্যুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের সভাপতি এই খোকসা-কুমারখালী এলাকার মানুষ সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর আপনারা সেই প্রজন্ম গড়ে তোলার মূল কারিগর, একজন মা যদি সন্তানকে রুচিশীল সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলে তাহলে সেই সন্তানের পরিবর্তন হবেই।
আপনাদের জন্য এই শেলাই প্রশিক্ষন ছিল জননেত্রি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার এ প্রশিক্ষনের জন্য আপনাদের কোন পয়সা দিতে হয়নি। এই প্রশিক্ষন কাজে লাগিয়ে, আপনারা স্বাবলম্বি হয়ে নিজের সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করলে আমরা সব থেকে বেশি খুশি হব। সেই সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়ার কাজ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।