ইবি ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোকসভা আত্মহত্যা কখনই কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না । —- প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, আত্মহত্যা কখনই কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এটি বরং অনেক সমস্যা তৈরি করে। তিনি শিক্ষার্থীদের বাস্তববাদী হতে আহবান জানান।
তিনি বলেন, আত্মহত্যা সেটা যে কোন কারনেই হোক না কেন তা সামাজিক, ধর্মীয় ও আইনের দৃষ্টিতে জঘন্যতম অপরাধ। এধরনের অপরাধ থেকে সকলকে দুরে থাকতে হবে। তিনি বলেন, শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আর আত্মহত্যার ঘটনা দেখতে চাই না।
ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, যে কোন ঘটনা জীবনের একটি অংশ, এটা পুরো জীবনের কোন ঘটনা নয়। তাই যে কোন প্রতিকুল পরিবেশে নিজেকে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। প্রকৃত শিক্ষা মানে শুধু ডিগ্রী অর্জন নয়। যে কোন প্রতিকুল পরিবেশে তারা যেন নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদের অনেক বিভাগের নারী শিক্ষক নেই, আর নারী শিক্ষক না থাকার কারনে ছাত্রীরা অনেক ক্ষেত্রে তাদের মনের কথা বলতে পারেনা। এজন্য অচিরেই আনুপাতিক হারে প্রতিটি বিভাগে নারী শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের দু’টি অমুল্য প্রাণ অকালে ঝড়ে গেছে ,আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
সোমবার দুপুরে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের আয়োজনে, ব্যাংকিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান ও মুনতা হেনা’র শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী এসব কথা বলেন।
ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সুতাপ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তৃতায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষেরই কোন না কোন সমস্যা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। জীবন সহজ নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি বিভাগে কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করতে চাই। এর মধ্যদিয়ে আশাকরি আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের অনেক সমস্যার সমাধান পাবে। অপর বিশেষ অতিথি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে এমন ঘটনার সম্মুখিন হতে হবে তা আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি।
তিনি বলেন, যদি একজন শিক্ষার্থী তার জীবনের, সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় মুল্যবোধ না শিখতে পারে তাহলে শুধুমাত্র ভাল রেজাল্ট করে কোন লাভ হবে না। তাই সকল শিক্ষার্থীকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষত হতে হবে।
শোকসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান ও ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের ছাত্র ফাহাদ হোসেন। শোকসভা শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।