ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন কমিউনিকেশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আগামী ৬ই জুন নিয়োগ বোর্ডে ছাত্রী সংস্থার নেত্রীকে মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি অসমর্থিত সূত্রে জানায়, লিষ্টে ১ নাম্বারে আছেন দিলরুবা শারমিন। তার বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ। তিনি ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। অনার্সের রেজাল্ট টেম্পারিং করে ৩.৫ বানিয়েছেন বলে তার বির“দ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ছাত্রী সংস্থার বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নেত্রী।
তার এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায়, তার মা জামায়াতের মহিলা সংস্থার তালিম দেই। ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র শিক্ষকের বাড়ির পাশে তার বাড়ি হওয়ায় তাকে ডিপার্টমেন্টে মাষ্টার্সে প্রথম বানানো হয়। ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র শিক্ষকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা ঐ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে ঐ মেয়ের বাড়ি চাপাই আমাদের কিছু বলার নেই। এইটা উত্তরবঙ্গইজম। ঐ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের হয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব দেই। কিন্তু এলাকার জামায়াত শিবিরের চাকুরীর জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এদিকে এই ডিপার্টমেন্টের আরো ২জন প্রভাবশালী হিন্দু শিক্ষকের আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুব্রত কুমার নামে একজনের চাকুরীর জন্য দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছে। উক্ত সুব্রত কুমার বিশ্বাসের বাড়ি খোকসা এলাকায়। তার পরিবারের লোকজনের কাছে খোজ নিয়ে জানা যায়, পৈতৃক জমি বিক্রয় করে ওই দুইজন হিন্দু শিক্ষকের কাছে টাকা দিয়েছে। সুব্রতের পরিবারের লোকজন দুঃখ প্রকাশ করে বলেই ফেলল ছেলের চাকুরী হলে টাকার কথা মনে পড়বে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সতর্ক ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহল যেন মেধাবীরা বঞ্চিত না হয়।