কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রতন শেখ গত ৫ই জুলাই ২০১৭ইং তারিখ যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি ইবি থানা এলাকায় সু-নাম অর্জন করেছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আলোচনা করে দিক নির্দেশনা দেন।
গ্রামের অনেক অভিভাবক রয়েছে যারা তাদের মেয়েকে অল্প বয়সে বিবাহ দিতে চেয়েছে, সে সকল বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করে বা বন্ধের পর তাদের পুনরায় লেখাপড়ায় সহযোগীতা করেছে।
এরই মাধ্যমে ওসি রতন শেখ থানার অন্যান্য অফিসার কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় ১বছর ১মাস সময়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ওসি রতন শেখ’র সেঞ্চুরি-১০০তম বিবাহ বন্ধ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
জানা যায়, ১৩ই আগষ্ট সোমবার, ঝাউদিয়া থেকে হরিনাকুন্ডু উপজেলার তৈলটুপির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ২ শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সংবাদ পেয়ে তাদের আটক করে ইবি থানায় নিয়ে আসে। এসময় প্রভেশনাল অফিসার এই দুই শীক্ষার্থীর অভিভাবক কে ডেকে বাল্য বিবাহের ক্ষতিকর দিক ও আইনগত বিষয়টি বোঝান। অভিভাবকেরা বাল্য বিবাহ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ওই দুই শিক্ষার্থীকে তাদের হেফাজতে তুলে দেন।
সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকেরা থানায় উপস্থিত হলে এক সাক্ষাৎকারে ওসি রতন শেখ বলেন বাল্য বিবাহ আমাদের দেশের জন্য মারাত্মক সমস্যা। হরিনাকুন্ডু উপজেলার তৈলটুপির এই দুই শিক্ষার্থীকে ঝাউদিয়া বাল্য বিবাহ দেওয়া হচ্ছে সংবাদ পেয়ে তাদেরকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাদের অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
প্রশ্ন কত তম বিবাহ বন্ধ, ওসি বলেন যোগদানের পর থেকে এ যাবৎ ১০০তম বিবাহ বন্ধ হয়েছে।