বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক ইউনিট সমূহের কার্যক্রম গতিশীলতার নিমিত্তে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৫শে জুলাই অনুষ্ঠিত সভা শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক ইউনিট সমূহের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীলতা আনতে ৬ সদস্য কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠান।
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা সফর করে।
কিন্তু ২৮ জুলাই কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্তৃক সংবর্ধনা প্রদান ও ২৯ শে জুলাই কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা না করেই চুয়াডাঙ্গা সফর করেই যশোর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় প্রতিনিধিদলটি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বিত এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার দুইজন সদস্য ছিলেন।
তবে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরেও প্রতিনিধি দলটি গুরুত্বপূর্ণ এই কুষ্টিয়া জেলা এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসায় ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, সম্প্রতি কুষ্টিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের বাঘা, বাঘা আওয়ামীলীগ নেতাদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে বর্তমান প্রশাসনের দুজন কর্তাব্যাক্তি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ইবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন বাগিয়ে আনে। যার ফলশ্রুতিতে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে খুলনা বিভাগে এসেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুষ্টিয়ায় বর্ধিত সভা না করেই ফিরে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিনিধি দল।
এসব বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা ফোন ধরেননি।