ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াররা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চ্যাম্প আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবলের সেমিফাইনাল খেলায় ১০মার্চ (বুধবার) আজ বিকেলে অংশ গ্রহন করেন। খেলার এক পর্যায় ইবি খেলোয়াড়দের উপর কাপুরুষচিত ভাবে নগ্ন পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ক্যাডার শিক্ষার্থীরা।
সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এ খেলার এক পর্যায়ে ইবি হ্যান্ডবল খেলোয়াড় ও কোচের উপর অতর্কিত হামলা করে, এতে ইবির শিক্ষার্থী (খেলোয়ার) ইমন ও রাব্বি নামের দুই জন গুরুত্বর আহত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এছাড়া ইবি ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক ও হ্যান্ডবল দলের কোচ ড. সোহেলকে প্রহার করে রক্তাক্ত করা হয় বলে জানা যায়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে।
উক্ত ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে বুধবার সন্ধা ৬টায় ইবির প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিচারের দাবীতে আন্দোলন করেন। মহাসড়কটি প্রায় এক ঘন্টা অচল হয়ে পড়ে, এতে যানবাহন আটকা পড়ে, সাধারন জনগন ভোগান্তিতে পড়ে।
ঘটনাস্থলে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রতন শেখ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায়, সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে আন্দোলন করেন।
ঘটনার বিষয়ে ওসি রতন শেখ’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঢাকাতে ঘটনাটি হওয়ায় সেখানে মামলা করতে হবে, আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দিলে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এ সময় ওসি রতন শেখ আশুলিয়া থানায় কথা বলেন, আশুলিয়া থানার ওসি, ইবি থানার ওসিকে মুঠফোনে বলেন অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বস্ত করে ঘন্টা ব্যাপী অবরোধ তুলে নেয়। ২৪ঘন্টার আল্টিমেটামে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব স্থানে ফিরে যান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিচুর রহমান শিক্ষার্থীদের সাথে ঐক্যমত পোষন করে বলেন, প্রয়োজনে এই বিচারের জন্য হাইকোর্ট বরাবর আপিল করবেন বলে জানা যায়।