বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ২০২০-২০২১ অর্থসালের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এটি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট।
চলতি অর্থসালের সংশোধিত বাজেটে সরকার ১টি ডাবল ডেকার বাস এবং পরবর্তী অর্থসালের বাজেটে ২টি ডাবল ডেকার বাস ক্রয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। চলতি অর্থসালে বর্তমান প্রশাসন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অনুমোদন নিয়েছেন এবং এই প্রথম স্কুলটির জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে।
প্রশাসন চলতি অর্থসালে ১২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুমোদন নিয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে, যা এর আগে কখনো পাওয়া যায়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য বর্তমান প্রশাসনের সততা ও দক্ষতার কারণে সরকারের পক্ষ থেকে এ বাজেট প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে। এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ বাজেট প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বাজেট বরাদ্দের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ অর্থসালের সংশোধিত এবং ২০২০-২০২১ অর্থসালের মূল অনুন্নয়ন বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর নিকট হস্তান্তর করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা। এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. আব্দুল লতিফ, প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন, হিসাব পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ছিদ্দিক উল্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ২০১৯-২০২০ অর্থসালের সংশোধিত বাজেটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় চলতি (সংশোধিত) অর্থসালের জন্য ১৮ কোটি টাকা এবং আগামী অর্থসালের জন্য ১৮ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
Discussion about this post