মোঃ তামজীদুল হক ফাহিম, ইবি প্রতিনিধি:- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মাঝে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরন ও এডুকেশনাল রোমিং এর উদ্বোধন করা হয়েছে। এডুকেশনাল রোমিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বব্যাপী যত এডুকেশনাল নেটওয়ার্ক আছে তা একটি নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে।
একটি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যাবহার এ সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৪ টি লোকেশনে বিডিরেন ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় এটি প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল আইডি কার্ড প্রাথমিকভাবে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দেওয়া হলেও পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের মাঝেও এটি বিতরন করা হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা বারোটায় নিজ কার্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।
আইসিটি সেলের কর্মকর্তা তুষারের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.সেলিম তোহা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রক্টর ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. মাহবুবুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. জাকারিয়া রহমান প্রমুখ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, আমরা চতুর্থ কনভোকেশনে ডিক্লেয়ারেশন দিয়েছিলাম যে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকীকরণের পথে। এখন আন্তর্জাতিকীকরণে পথ যাত্রী হতে হলে রয়েছে নানামুখী প্রক্রিয়া। ডিজিটালাইজেশন হলো সেই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান সকল সাফল্য উন্নয়ন ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী’ দেশরত্ন শেখ হাসিনারই অবদান। বৈজ্ঞানিক অবদানে কারণে আমাদের গবেষণা কাজ আজ হাতের মুঠোয়। এখন থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র, হল কার্ড, মেডিকেল কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড আলাদা আলাদা ব্যবহারের পরিবর্তে একটি স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে সব সুযোগ সুবিধা পাবো। এ স্মার্ট কার্ড ব্যবহার শুরু করতে পেরে আমরা সত্যি আনন্দিত। আমরা এ স্মার্ট কার্ড আপাতত শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রদান করবো এবং খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের জন্যেও এ স্মার্ট কার্ড ব্যবস্থা চালু করবো। এখন থেকে অফিস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষ্ঠানে আমরা এ স্মার্ট কার্ড ধারণ করবো।
এ ছাড়া তিনি এ্যডুরোমিংয়ের বিষয়ে বলেন, এডুকেশনাল রোমিং নেটওয়ার্ক সারা বিশ্বে ১০১ টি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ পদ্ধতি চালু রয়েছে। আমাদের দেশে এ পদ্ধতি খুবই অল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে চালু হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও এ রোমিং নেটওয়ার্কিং পদ্ধতি চালু করেছি। এ পদ্ধতির আওতায় থাকা দেশ-বিদেশের যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বিনা খরচে যোগাযোগ করতে পারবো।
বক্তব্য শেষে তিনি উদ্বোধন ঘোষণা করে উপস্থিত অতিথিদের সাথে নিয়ে স্মার্ট কার্ড গ্রহন করেন।
উপ-উপাচার্য ড. শাহিনুর রহমান বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল ডিজিটাল আইডি কার্ডের প্রচলন করা। আমি মনে করি ডিজিটাল বাংলাদেশ যে কনসেপ্ট সেটারই একটি বহিঃপ্রকাশ আমাদের আজকের এই এডু রুম ও জিজিটাল আইডি কার্ড উদ্বোধন। এটি মেশিনে দিলে তার সব তথ্য চলে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট যে কাউকে এই আইডি কার্ডের মাধ্যমে ট্রেস করা সম্ভব।
কোষাধ্যক্ষ ড. সেলিম তোহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মার্ট আইডি কার্ড ও এডু রুমের উদ্বোধনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ইবি। আমরা সেদিন আরো বেশি আনন্দিত হব যেদিন আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে এই স্মার্ট কার্ড তুলে দিতে পারব। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতার এভবেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।