কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর গ্রামে আলী হায়দার স্বপন ও গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের মাঝে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হলে এক পর্যায়ে স্বপন গ্রুপের এক আওয়ামীলীগ কর্মী মঈনুদ্দিন বিশ্বাস (৬০) নামের একজন ব্যক্তি নিহত হয়।
নিহত মঈনুদ্দিনের পুত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বাদী হয়ে ইবি থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এতে প্রধান আসামী পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনায় গোলাম মোস্তফা গ্রুপের আমিরুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রোগী আশঙ্কাজনক হওয়ায় তার স্ত্রী চকেলা খাতুন ইবি থানায় মামলা করে। এতে করে যাদের প্রধান আসামী করা হয়েছে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দু পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলায় এলাকায় পুলিশ ও ডিবিপুলিশের ব্যাপক তৎপরতা চলছে। প্রধান আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দুটি মামলার আয়ু ইনেসপেক্টর জহুরুল আলম।
বিষয়টি নিয়ে ইবি থানার ওসি রতন শেখ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এলাকায় পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে, এক দিকে পুলিশ কাজ করছে অন্যদিকে ডিবিপুলিশও তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এলাকা থেকে অনেকেই আটক হয়েছে। প্রথমদিনের ঘটনার পর মোস্তফা গ্রুপের লোকজন এলাকার বাইরে রয়েছে। পরে পাল্টা মামলা হওয়ায় স্বপন গ্রুপের লোকজন এলাকা ছেড়েছে। যারা প্রকৃত মামলার আসামী তারা এলাকা ছাড়ায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। ওসি রতন শেখ আরো বলেন আসামী যতবড় শক্তিশালী হোক তাকে আইনের আওত্তায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এলাকার চুরি ডাকাতি নিয়ে ওসি বলেন অনেকে অভিযোগ করছে কারো পান, কলা সহ ফসল হারিয়ে যাচ্ছে, এমনকি গরু চুরি করছে। এমন অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পৌছলে কোন সত্যতা না পাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না। পুলিশ এলাকার প্রতিটি জায়গায় মহড়া দিচ্ছে, যারা চুরি ডাকাতি নিয়ে অভিযোগ করছে তারা পুলিশকে হয়রানী করতে এমন অভিযোগ করছে বলে জানা যায়। তবে এক বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় আব্দালপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে একটি নদী, নদীর ওপারে ঝিনাইদহ জেলা, চরুয়াপাড়া গ্রামে চুরি ডাকাতি তৃতীয় পক্ষের ব্যক্তি এসে করছে বলে জানা যায়।
আব্দালপুরে সংঘর্ষের ফলে এদিকে বন্ধ রয়েছে আব্দালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা দাবী করছে। এলাকার সাধারন মানুষ দ্রুত এলাকায় শান্তি চায়। বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন নিহত মঈনুদ্দিন তার পক্ষের ছিলেন। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রান হারিয়েছে তার পক্ষে থাকা মঈনুদ্দিন। তারপরেও তাদেরকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন আজ আমরা শোকাহত, নিহত মঈনুদ্দিন হত্যার রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতে মোস্তফার পক্ষ থেকে আমাদের নামে পাল্টা মামলা করে। আমরা এলাকায় শান্তি চাই সে লক্ষে মঈনুদ্দিন মারা যাবার পরেও আমার লোকজনেরা কোন বিশৃংখলা করে নি। এ বিষয়ে মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করলে তার মুঠফোন বন্ধ পাওয়া যায়।