No Result
View All Result
Kushtia 24
  • প্রচ্ছদ
  • কুষ্টিয়া
  • বাংলাদেশ
  • খুলনা
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবনযাপন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • প্রচ্ছদ
  • কুষ্টিয়া
  • বাংলাদেশ
  • খুলনা
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবনযাপন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
No Result
View All Result
Kushtia 24
No Result
View All Result
প্রচ্ছদ উদ্যোক্তা

আবারও শীর্ষে ‘বিল গেটস’, নিঃস্ব হতে সময় লাগবে ২১৮ বছরের বেশি!

November 4, 2019
in উদ্যোক্তা, জানা-অজানা
A A
0
Share on FacebookShare on Twitter

বাবা-মা চেয়েছিলেন বিল গেটস আইনজীবী হোক। কিন্তু বিল গেটস সারা দিন পড়ে থাকতেন কম্পিউটার নিয়ে। স্কুলেই প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি তার। নিজে নিজেই লিখে ফেলেন গেমিং প্রোগ্রামিং। স্কুল থেকে বহিষ্কার হন নীতিবিরুদ্ধ অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য। উল্টো হার্ভার্ডে এসে প্রোগ্রামিংয়ে আরও মনোযোগী হন তিনি। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পেয়েও পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। বন্ধু পল অ্যালেনকে নিয়ে গড়ে তোলেন মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এনে বদলে দিলেন পুরো কম্পিউটার জগৎ। মাইক্রোসফট হয়ে উঠল বিশ্বের শীর্ষ টেক কোম্পানির একটি। সেই সাফল্যেই এলো হাজার হাজার কোটি টাকা। এখন বিল গেটস ১০৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। বিশ্বের শীর্ষ ধনী তিনি…

কত টাকা তার ?

শীর্ষ ধনীর তকমাটা হাতছাড়া হয়েছিল বিল গেটসের। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস তাকে টপকে গিয়েছিলেন। টানা দুই বছর শীর্ষ ধনীর জায়গাটি ধরে রেখেছিলেন জেফ বেজোস। তাকে পেছনে ফেলে বিল গেটস এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। ১০৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক তিনি। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফট উইন্ডোজ তৈরি করে তিনি বদলে দিয়েছিলেন কম্পিউটিং জগতের ইতিহাস। সেই মাইক্রোসফট এখন বিশ্বের শীর্ষ টেক প্রতিষ্ঠানের একটি। আবারও বিল গেটসের শীর্ষ ধনী হওয়ার পেছনে জেফ বেজোসের বিয়ে বিচ্ছেদ একটি বড় কারণ। বিয়ে বিচ্ছেদের কারণে সাবেক স্ত্রী ম্যাককেনজিকে ৩২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার দিতে হয় জেফ বেজোসকে। এতে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হওয়া বেজোসের সম্পদের পরিমাণ অনেক কমে যায়। অ্যামাজনের শেয়ারে বড় ধরনের দরপতন হয়। অন্যদিকে ১৯৮৭ সালে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় প্রবেশ করা বিল গেটস কয়েক বছর ধরে এক নম্বরে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী ১২ বার শীর্ষ ধনীর তকমা পান তিনি। এর বাইরে সবসময়ই শীর্ষ তিনের মধ্যেই থেকে গেছেন ৬৪ বছরে পা দিতে যাওয়া এ ব্যবসায়ী। বিল গেটস তার দাতব্য ফাউন্ডেশনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার দান করলে সম্পদের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। যদিও এখন টাকার পেছনে আর ছুটছেন না বিল গেটস। বরাবরই সে কথা   বলে আসছেন তিনি। তার মনোযোগ দাতব্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে।

প্রতি সেকেন্ডে আয় ৩২ হাজার টাকা

বিল গেটস মাইক্রোসফট থেকে সরে এসেছেন বেশ আগেই। এখন সময় দেন স্ত্রী ও তার নামে গড়া একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য। শত শত কোটি টাকা তিনি দান করছেন প্রতি মাসেই। এসব টাকার বেশির ভাগই খরচ হয়, দরিদ্র, শিক্ষা ও চিকিৎসাবঞ্চিত শিশুদের পেছনে। মাইক্রোসফট থেকে সরে এলেও তার টাকার পাহাড় আকাশ ছুঁয়েছে। এখনো প্রতি সেকেন্ডে তিনি আয় করছেন ৩২ হাজার টাকা! বিজনেস ইনসাইডার বিল গেটসের আয় নিয়ে এই অভুত তথ্যটি তুলে ধরে। গেটসের নিট সম্পদের মূল্য ক্রোয়েশিয়া, কম্বোডিয়া ও বাহামার মোট দেশজ উৎপাদনের সমান।

প্রতিদিন ৮ কোটি টাকা খরচ করলেও ফুরাবে না ২১৮ বছরে…

বিলিওনিয়ারদের টাকার পরিমাণ কত? কত হাজার কোটি টাকা তাদের তা বুঝে উঠতে হিমশিম খেতে হয় অনেকেরই। সহজ একটা হিসাব দেওয়া যাক। দিনে ৮ কোটি খরচ করলেও বিল গেটসের সব টাকা ফুরাতে লাগবে ২১৮ বছর। অক্সফামের এক গবেষণায় এ হিসাব দেওয়া হয়েছিল বেশ আগে। গার্ডিয়ান পরে খবর আকারে এটি প্রকাশ করে। তখন তার সম্পদ ছিল ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আরেক মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট এ হারে খরচ করতে থাকলে ১৬৯ বছরে শূন্য হবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

শৈশবেই প্রোগ্রামিং, বহিষ্কার হন স্কুল থেকে

বিল গেটসের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরের সিয়াটলে। তার বাবা ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী। মা চাকরি করতেন একটি কোম্পানিতে। বাবা-মা চেয়েছিলেন বিল গেটস আইনজীবী হবেন। ১৩ বছর বয়সে বিল গেটসকে ভর্তি করা হয় লেকসাইড স্কুলে। বিল গেটস ততদিনে প্রোগ্রামিং নিয়ে নিজে নিজেই চর্চা শুরু করে দিয়েছেন। তার বাড়াবাড়ি রকমের এ প্রোগ্রামিং আগ্রহ দেখে স্কুল তাকে গণিত ক্লাস থেকে অব্যাহতি দেয়। কম্পিউটার সেকশনে বসেই তিনি প্রথম প্রোগ্রাম লিখে ফেলেন। এ প্রোগ্রামটি কম্পিউটারের সঙ্গে  গেম খেলার জন্য ব্যবহার করে গেটস সবাইকে চমকে দেন। এরই মাঝে স্কুলে ডোনেশনের টাকায় কিছু ভালো মানের কম্পিউটার আসে। বিল গেটস তখন কম্পিউটার সেকশনের অন্য ছাত্রদের নিয়ে কম্পিউটার সেন্টার করপোরেশনের নীতিবিরুদ্ধ ডেমো অপারেটিং সিস্টেম আবিষ্কার করেন। কাউকে কিছু না জানিয়ে এটি কম্পিউটারে ব্যবহার করায় বিল গেটস ও তার তিন বন্ধু পল অ্যালেন, রিক ওয়েইল্যান্ড এবং কেন্ট ইভানসকে স্কুল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ট্রোজান ঠেকিয়ে বিল গেটস অপারেটিং সিস্টেম আবিষ্কারের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। প্রোগ্রামিংয়ে বিল গেটসের কৌতূহল স্কুল থেকে কলেজ জীবনেও পৌঁছে যায়। তবে বড় ধরনের ম্যাজিক দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে। বন্ধুকে নিয়ে তৈরি করেন পৃথিবীকে বদলে দেওয়া এক অপারেটিং সিস্টেম।

হার্ভার্ডে পড়াশোনা ছেড়ে শুরু করেন প্রোগ্রামিং

প্যানকেক সর্টিং নামের এক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করেছিলেন বিল গেটস। অধ্যাপকরা যখন সেই সমাধান সাময়িকীতে প্রকাশ করার জন্য বিল গেটসকে খুঁজে বের করলেন, দেখা গেল এ নিয়ে তার কোনো আগ্রহই নেই! তিনি ব্যস্ত প্রোগ্রামিং নিয়ে। মাইক্রোসফট বানাতে গিয়ে হার্ভার্ডে পড়াশোনাই ছেড়ে দিলেন...

মেধাবী বিল গেটস হার্ভার্ডে পড়ার সময়ই প্রোগ্রামিংয়ে মজে যান। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনায় শুরু করেন ফাঁকিবাজি।

হার্ভার্ডে পড়ার সময় যেসব কোর্সের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন, তার একটিতেও হাজিরা দেননি। তাই বলে বাইরে ঘুরে বেড়ানো বা আড্ডাবাজিতে তাকে দেখা যেত না। উল্টো যে ক্লাসে বসতে ভালো লাগল সে ক্লাসে গিয়ে বসে থাকতেন। লেকচারারদের কথা মন দিয়ে শুনতেন। বিল গেটসের মুখস্থ বিদ্যা ছিল দারুণ। যে কারণে ক্লাসে ফাঁকিবাজি করলেও পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে তা বোঝার জো নেই। ক্লাস না করেও সব সময় এ গ্রেড পাওয়া ছাত্রদের তালিকায় ওপরের দিকে থাকতেন তিনি। হার্ভার্ডে পড়ার সময় বিল গেটস সবার নজর কাড়েন পড়াশোনা দিয়েই। ‘প্যানকেক সর্টিং’ নামের দীর্ঘদিনের এক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে  ফেলেন। প্রথমদিকে অধ্যাপকরা তার কথা বিশ্বাস করতে চাননি। তার এক অধ্যাপক ওই সমাধানটি একাডেমিক পেপারে প্রকাশ করতে বলেন। তবে এটি নিয়ে বিল গেটসের খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। কারণ ততদিনে পড়াশোনা বলতে গেলে ছেড়েই দিয়েছেন তিনি। তার ব্যস্ততা মাইক্রোসফট নিয়ে। নতুন আবিষ্কারের স্বাদ বিল গেটসকে আঁকড়ে ধরেছে। হার্ভার্ডের সাবেক অধ্যাপক ক্রিস্টোস পাপাডিমিত্র লিখেছেন, ‘দুই বছর পর যখন বিল গেটসকে ডেকে বলা হলো, তার সমাধানটি গণিতের সাময়িকীতে প্রকাশের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। তখন তার আগ্রহ দেখা যায়নি। সে নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্কে মাইক্রোপ্রসেসরের মতো যন্ত্রের জন্য কোড লিখতে ছোট একটি কোম্পানি চালাতে আগ্রহী।’ সেই কোডিং প্রেম, প্রোগ্রামিংয়েই জন্ম নেয় মাইক্রোসফট।

পৃথিবী বদলে দিলেন মাইক্রোসফট দিয়ে

সাধারণ ব্যবহারকারীরা আরও সহজে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য এ অপারেটিং সিস্টেম পেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। ১৯৮৬ সালে মার্কিন পুঁজিবাজারে জায়গা করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। রাতারাতি দাম বাড়তে থাকায় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কিনে তিনজন বিলিয়নিয়ার এবং প্রায় ১২ হাজার আইপিও গ্রাহক মিলিয়নিয়ার বনে যান...

ওয়াশিংটনভিত্তিক মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। বিল গেটস ও তার বন্ধু পল অ্যালেন মাইক্রোসফট গড়ে তুলেছিলেন। যখন শুরু করেছিলেন তখন তারা চেয়েছিলেন নিজেরাই তা ব্যবহার করবেন। পরে ঠিক করলেন সেই কম্পিউটার বিক্রিও করবেন তারা। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলেন তারা। তখন বাজারে ছিল অলটেয়ার-৮৮০০ কম্পিউটার। সেই কম্পিউটারের জন্যই কিছু ইন্টারপ্রেটার টাইপের প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন তারা। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি জনপ্রিয় অপারেটিং সফটওয়্যার এমএস-ডস তৈরি করেন তারা। কম্পিউটার বাজারে দুই বন্ধুর রাজত্ব তখন থেকেই শুরু। তাদের অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ব্যবহারকারীর মধ্যে আস্থা তৈরি করে। অল্প সময়ের ব্যবধানে অপারেটিং সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বাজারে ছাড়েন তারা। অবিশ্বাস্য সাড়া ফেলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ। সাধারণ ব্যবহারকারীরা আরও সহজে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য এ অপারেটিং সিস্টেম পেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ১৯৮৬ সালে মার্কিন পুঁজিবাজারে জায়গা করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। রাতারাতি দাম বাড়তে থাকায় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কিনে তিনজন বিলিয়নিয়ার এবং প্রায় ১২ হাজার আইপিও গ্রাহক মিলিয়নিয়ার বনে যান। ১৯৯০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠানটি অপারেটিং সফটওয়্যারের পাশাপাশি নিজেদের বাণিজ্য প্রসারের জন্য একের পর এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ শুরু করে। ২০০০ সালে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ততদিনে সাফল্যের আকাশ ছুঁয়েছে মাইক্রোসফট। বিল গেটস হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা ধনী।

ধনকুবের তবুও বার্গার কিনতে লাইনে দাঁড়ান

বিশ্বসেরা ধনী। টাকার পাহাড় রয়েছে তার। যা চান- চাইলেই হাতের নাগালে পৌঁছে যায় সব। তবু সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত বিল গেটস। এ কথা অনেকবার বলেছেনও তিনি। তার কথার প্রমাণ এ ছবিটি। সিয়াটলে সেদিন উইকেন্ড (সপ্তাহের বন্ধের দিন)। সিয়াটলের ফাস্টফুড শপ ডিকস ড্রাইভ-ইন-এর লাইনে বার্গার কেনার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিল গেটস। লাল সোয়েটার, ধূসর রঙের প্যান্ট ও কালো স্নিকার পরা গেটস পকেটে হাত ঢুকিয়ে অপেক্ষা করছেন লাইনে। তার সামনে দেখা যাচ্ছিল এক তরুণকে। ফেসবুকে পোস্ট হওয়া ধনকুবেরের এ ছবিটির ব্যাপারে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম বলছে,  সেদিন মাত্র ৬০০ টাকা দামের খাবার কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বিল গেটস!

১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানদের দেননি মোবাইল ল্যাপটপ-কম্পিউটার

বিল গেটসের তিন সন্তান। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের কারও হাতেই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কম্পিউটার- কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র তুলে দেননি বিল গেটস। ঘরে খাবার টেবিলেও মোবাইল আনা নিষেধ। বিল গেটস একাধিকবার আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বলেছেন, স্কুলে তাদের সহপাঠীরা মোবাইল ব্যবহার করত বলে আমার সন্তানরা মোবাইল-কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য গো ধরত। আমি দিতাম না। ঘুমের ব্যাঘাত হবে এটা মনে করেই ১৪ পেরোনোর পরও তাদের অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করতে দেন না তিনি। সন্তানদের ঘুমানোর সময়টাও ঠিক করে দিয়েছেন। বিল গেটস নিজে বই পড়তে পছন্দ করেন। সন্তানদেরও বই পড়তে উৎসাহ দেন সব সময়। এ ছাড়া পরিবারের সবার সঙ্গে ঘুরতে যান সময় পেলেই। টেনিস খেলেন। বিল গেটস বলেন, সন্তানদের সময় দেওয়ার লোভ তার কখনই কমেনি।

জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল

বিল গেটসের জীবনেও রয়েছে মস্ত বড় ভুল। সে কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। অ্যাপল ছাড়া অন্য সব মোবাইলের প্ল­াটফর্ম হিসেবে অ্যানড্রয়েডকে বাড়তে দেওয়াই তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। এ কথা বুঝে নিতে সাধারণ মোবাইল ব্যবহারকারীদের কষ্ট হওয়ার কথা নয়। বিশ্বজুড়েই অ্যানড্রয়েডযুক্ত মোবাইলের বাজার ছড়িয়েছে। এই বাজার দখল করতে পারত মাইক্রোসফট। ঠিক সময়ে অ্যানড্রয়েডকে প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসতে পারলে আজ মাইক্রোসফট বিশ্বের অন্যতম সেরা টেক  কোম্পানি না হয়ে একমাত্র টেক  কোম্পানি হতে পারত। সেই সুযোগ হারিয়েছেন বিল গেটস।

খাবার খেয়ে নিজেই প্লেট ধুয়ে রাখেন

মেলিন্ডার সঙ্গে বিল গেটসের প্রেম জমে ওঠে ১৯৮৭ সালে। বিয়ে করেন ১৯৯৪ সালে। বিল গেটস সবসময় বলেন, বিয়ের পর থেকেই সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন তিনি। বিশ্বের শীর্ষ ধনী বলে আয়েশ কিংবা বিলাসিতায় গা ভাসাননি। এখনো বিল গেটস সবার আগে ঘুম থেকে উঠতে পছন্দ করেন। শরীর ও মন উভয়ের ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে শুরু করেন দিনটা। ট্রেডমিলে  টানা এক ঘণ্টা দৌড়ান। তার পর হালকা নাস্তা নিয়ে বসে পড়েন পত্রিকা পড়তে। ঘরের টুকটাক কাজ নিজেই করেন। রাতে খাবার খেয়ে নিজেই প্লেট ধুয়ে রাখেন। অবসরে বই পড়েন। সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান।

ধনকুবেরের বাড়ি

ওয়াশিংটনের মেডিনায় লেক ওয়াশিংটনের পাশে ৬৬ হাজার বর্গফুটের ওপর তৈরি হয়েছে বিল গেটসের বিলাসবহুল বাড়ি। এ বাড়ির দাম প্রায় ১৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার। এ বাড়ির দেয়ালে রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর। যে কেউ নিজের পছন্দমতো ঘরের তাপমাত্রা বদলে ফেলতে পারেন। ৫০০ বছরের পুরনো বহুমূল্যবান ডগলাস ফার গাছের কাঠ দিয়ে  তৈরি এ বাড়ির বেশির ভাগ অংশ। বাড়ির সামনে রয়েছে ৬০ ফুট লম্বা সুইমিং পুল। অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত ২৪টি বাথরুম রয়েছে বাড়িটিতে। একসঙ্গে ২০০ জন অতিথি থাকতে পারেন অতিথিশালায়। মোট ছয়টি রান্নাঘর রয়েছে এখানে। ২ হাজার ১০০ বর্গফুটের লাইব্রেরিতে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন পান্ডুলিপিসহ গেটসের ব্যক্তিগত লাইব্রেরি।

সন্তানদের জন্য সম্পদ রেখে যাবেন না বিল গেঁস

গেটস দম্পতির তিন সন্তান। দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তাদের। বিনা পরিশ্রমে টাকা-পয়সা জীবন গঠনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বলে মনে করেন গেটস দম্পতি। গেটস দম্পতি সন্তানদের কলেজে যেতে অনুপ্রাণিত করেন। সাধারণ জীবনযাপনে প্রয়োজনের বেশি টাকা তাদের হাতে তুলে দেন না তারা। গেটস দম্পতি চান সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি করুক, নিজের ক্যারিয়ার নিজে  তৈরি করে নিক। এতেই তারা জীবনের প্রকৃত স্বাদ খুঁজে পাবে। এ কারণেই বিপুল পরিমাণ সম্পদের কানাকড়িও সন্তানদের জন্য রাখার  কোনো পরিকল্পনা নেই গেটস দম্পতির। সন্তানদের জন্য বিলিয়ন ডলারের কোনো ট্রাস্ট-ফান্ড গঠনেরও পরিকল্পনা নেই। গেটস দম্পতির মতে, সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বিপুল ধন-সম্পদ রেখে যাওয়ার  কোনো মানে হয় না। বিল গেটস নিজেই বলেন, এটি তাদের জন্য উপকারী নাও হতে পারে।

Share this:

  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to print (Opens in new window)
  • Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • Click to share on Skype (Opens in new window)
  • Click to email this to a friend (Opens in new window)
  • Click to share on Reddit (Opens in new window)
  • Click to share on Tumblr (Opens in new window)
  • Click to share on Pocket (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)

Related

Tags: বিল গেটস
Previous Post

কুয়েতে নারী গৃহকর্মী বেচাকেনার বিশাল অনলাইন ‘দাসীর বাজার’

Next Post

কুষ্টিয়ায় পৃথক ২ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

Related Posts

উদ্যোক্তা

রিক্সা ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা থেকে শীর্ষ সোনা ব্যবসায়ী

কুমারখালী

কিংবদন্তি অভিনেতা ‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়’, কুষ্টিয়ার কয়ায় শেকড়

আশিক আহমেদ
আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় বাংলাদেশের আশিক

Next Post

কুষ্টিয়ায় পৃথক ২ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

Discussion about this post

No Result
View All Result

লাইক দিন । শেয়ার করুন

সর্বশেষ খবর

  • দেশ সেরা ক্রিকেটার হতে চাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দুই সন্তান
  • কুষ্টিয়া করোনা আপডেট: আক্রান্ত হাজার ছাড়াল | নতুন শনাক্ত ৪৫ জন
  • কোরবানির পশুর হাট: কুষ্টিয়ায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি | বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি
  • কুষ্টিয়া দৌলতপুরের ইউএনও করোনা আক্রান্ত
  • কুষ্টিয়া দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ নিহত

পুরনো খবর

May 2022
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
« Apr    
Kushtia 24

© 2018 Kushtia 24

Navigate Site

  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact
  • Transparency Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • কুষ্টিয়া
  • বাংলাদেশ
  • খুলনা
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • খেলা
  • জীবনযাপন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

© 2018 Kushtia 24

// copy link with text
 

Loading Comments...
 

    loading Cancel
    Post was not sent - check your email addresses!
    Email check failed, please try again
    Sorry, your blog cannot share posts by email.