আদমব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার হয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার খেজুরতলার দুই যুবক সর্বশান্ত হয়ে সৌদি আরবের জেল থেকে বাড়ি ফিরেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে আব্দুর রহিম ও একই গ্রামের মৃত শমসের মন্ডলের ছেলে মিল্টনুর রহমানকে ফুড প্যাকেটিং কোম্পানিতে চাকরি দিয়ে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো আলমডাঙ্গার যাদবপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি আলমডাঙ্গা শহরের থানাপাড়ায় বসবাস করেন। সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি দুজনের নিকট থেকে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা নেন।
গত ৩ মার্চ তাদের সৌদি নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে কোনো কোম্পানির লোক তাদের রিসিভ করে নেয়নি। পরে সালাউদ্দীন নামের এক দালাল তাদেরকে নিয়ে গিয়ে জেদ্দা বিমানবন্দরের নিকটে এক রুমে অন্যান্যের সাথে আটকে রাখে। সেখানে ১৫ দিন থাকার পর কাজ যোগাড় করে দেয়ার অজুহাতে বায়ালি নামক আরেক স্থানে বন্দি করে রাখে। কাজ না দিয়ে অবশেষে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। আকামা না থাকায় পুলিশ তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
জেলের অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ শেষে প্রতারিত যুবক মিল্টনুর রহমান গত ১১ জুন ও আব্দুর রহিম গত ২২ জুন সৌদি থেকে বাড়ি ফেরেন। এখন প্রতারিত দুই যুবক টাকা ফেরত পেতে আদমব্যবসায়ী আশাদুল ইসলামের নিকট ধরণা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে।