কুষ্টিয়ায় আকিফাকে ধাক্কা দেয়া গঞ্জেরাজ পরিবহনের সেই মালিক ও চালকের জামিন বাতিল করেছে আদালত। সেই সাথে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি ৩০২ ধারায় সংযোজন করে মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আকিফা মৃত্যুর ঘটনার দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুমন কাদেরীর আবেদনের ভিত্তিতে এ আদেশ প্রদান করেন কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ।
সোমবার তিনি ওই দুই আসামিকে জামিন দেন। এর আগে রোববার ফরিদপুর থেকে বাসের মালিক জয়নালকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে কুষ্টিয়ায় এনে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আর ড্রাইভার মহিদ মিয়া ওরফে খোকন সকালে (সোমবার) আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিন চান।
কুষ্টিয়া কোর্টের জেনারেল রেজিষ্ট্রার অফিসার (জিআরও) এস আই আজাহার উদ্দিন জানান, আকিফার বাবার দায়ের করা মামলায় গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক জয়নাল মিয়ার পক্ষে সোমবার তার আইনজীবীরা সিনিয়র জুডিশিায়ল ম্যাজিষ্ট্রেট এম মোর্শেদের আদালতে জামিন আবেদন করেন। একই সময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ড্রাইভার মহিদ মিয়া ওরফে খোকন। পরে আদালত দুইজনকে জামিন দেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুমন কাদেরী তদন্ত করে আকিফাকে বাস চাপা ও মৃত্যু জন্য চালক ও মালিককে দায়ী করে তথ্য উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করে আবেদন করেন। পরবর্তীতে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ আকিফা মৃত্যুর মামলায় ৩০২ ধারা সংযোজন করে জামিন বাতিল করে মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।