কুষ্টিয়ায় এক বিধবার বসতঘর নির্মাণ করে দিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত।
বুধবার (১ জুলাই) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশহরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গ্রামের বিধবা নিঃসন্তান আমিরুন নেছার থাকার এ নির্মাণকৃত ঘরটি ফিতা কেটে উদ্বোধন শেষে তার হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ আজাদ রহমান সদর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আতিকুল ইসলাম, হাটশ হরিপুরের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম শম্পা মাহমুদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ২০ মে আম্পান ঝড়ে হাটশহরিপুর ইউনিয়নের শালদাহ গ্রামের বিধবা নিঃসন্তান আমিরুন নেছার মাথা গোজার ঠাঁই একমাত্র ঘরটি ঝড়ে উড়ে যায়। এরপর খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে আসছিলো। এমন সংবাদ জানার পর বিষয়টি নজরে আসে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপারের। তাৎক্ষণিক অসহায় নিঃসন্তান বিধবার বাড়িতে গিয়ে ত্রাণসহায়তার পাশাপাশি ঘর নির্মাণ করে দেবার জন্য নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদান করেন পুলিশ সুপার। আজকে প্রায় একমাস শেষে ঘরটি নির্মাণের পর ফিতা কেটে উদ্বোধন শেষে নিঃসন্তান আমিরুল নেছার হাতে ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত জানান, ‘ভাল কাজ করার মধ্যে যে কি আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবে না। এ বৃদ্ধার কষ্টের কথা জেনে আমি তার বাড়িতে এসেছিলাম। তার কষ্ট দেখে খুবই খারাপ লেগেছিল। রজমান মাস হওয়ায় আমার সহধর্মিনী যাকাতের টাকা দিয়ে বৃদ্ধার ঘরটি নির্মাণের কথা বললে আমিও সেই মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি। যাকাতের অর্থ দিয়ে ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছি। তিনি বাকি জীবন যাতে ভাল ভাবে থাকতে পারেন। পাশাপাশি তার ফার্নিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ নতুন ঘরটি তার কাছে হস্তান্তর করতে পেরে নিজের্কে সব থেকে সৌভগ্যবান মনে হচ্ছে। পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে আমি গর্বিত।’
ঘর পেয়ে কেমন লাগল অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নিঃসন্তান আমিরুন নেছা। তিনি বলেন, আইজকি যদি পুলিশ অফিসার না থাইকতো তালি(তাহলে) কোনদিনই আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই পাতাম না।