০৯ জুন অপহরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্র দেব দত্তকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যার পর চিথলিয়া গ্রামের অপহরণকারি দলের সদস্য নাইমের বাড়ির পিছনে টয়লেটের স্যাপটিক ট্যাঙ্কিতে বস্তায় ভরে লাশ ফেলে দেয় তারা।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে পুলিশ লাইনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার এসএম মেহেদী।
দেব দত্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুই অপহরণকারী চিথলিয়া গ্রামের জোয়াদ ও নাইমকে সোমবার সকালে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি দেয়। রাতে তাদের নিয়ে অপর সহযোগিদের ধরতে গেলে বন্দুকযুদ্ধে এ দুই অপহরণকারি নিহত হয়।
পুলিশ সুপার জানান, দেবকে হত্যার পর অপহরণকারীরা দেব দত্তের পিতা ও চাচার মোবাইলে দুই বার কল দিয়ে টাকা দাবি করে। নাইম স্বীকার করে, তাদের দলে ৪ থেকে ৫জন ছিল। সকালে মটর সাইকেলে দুইজন দেবকে তুলে আনে। এরপর তাকে হত্যা করে লাশ টয়লেটের পরিত্যাক্ত সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়।
সোমবার গভীর রাতে তাদের দলের অন্য সদস্যরা চিথলিয়া ও পাহারপুরে দুই স্থানে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সাথে নিয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে নাইম ও জোয়াদ নিহত হয়।
তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি টিম তৈরি করা হয়েছিল। এই টিমটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে দেবদত্ত অপহরণ রহস্য উম্মোচিত করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, সাখাওয়াত হোসেনসহ উর্দ্ধতণ কর্মকর্তারা।