ভাড়া কত দিচ্ছেন? জানেন না অটোতে পা রাখলেই ১০ টাকা? যেখান থেকেই উঠুন না কেন ভাড়া ১০টাকায় দিতে হবে! লাইনের গাড়ি। এমন হাজারো উচ্চ বাচ্য শুনতে পাওয়া যায় প্রতিনিয়ত।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত ছুটে যেতে হয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ঘরে ফিরে আসার জন্য বা যাতায়াতের জন্য একমাত্র অবলম্বন তিন চাকার যান অটো। আর এই সুযোগ কাজে লাগেই প্রতিনিয়ত জিম্মি করা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
শহরের অধিকাংশ অটোই এখন হরিপুরে আনাগোনা করে। কোন সুনির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ না থাকায় নিজের মন মতোই ভাড়া হাঁকিয়ে জোরপূর্বক ভাড়া আদায়ের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এমনকি জোরপূর্বক ভাড়া আদায়ের জন্য গায়ে হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না অটোচালকরা। আর এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নিম্ন আয়ের সাধারণ দিনমজুর থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষদের। শহরে একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় মজমপুর থেকে চৌড়হাস দুরত্ব প্রায় ২কিলোমিটার কিন্তুু নির্দিষ্ট ভাড়া ৫টাকা আবার মজমপুর থেকে বড় বাজার প্রায় দেড় কিলোমিটার নির্দিষ্ট ভাড়া ৫টাকা। একটা নির্দিষ্ট ভাড়ার প্রচলন থাকায় কোন বাকবিতণ্ডায় জড়াতে হয় না। কিন্তুু হরিপুরের ক্ষেত্রে গল্পটা অন্যরকম।
কয়েকজন দিনমজুর অভিযোগ করে বলেন শহরের ৪ রাস্তার মোড়, ৫ রাস্তার মোড় বা মজমপুর থেকে ব্রীজের মাথায় নামলেই গুনতে হয় ১০ টাকা। আমরা প্রতিদিন ২বার যাতায়াত করি বোয়ালদাহ মোড় থেকে ছয় রাস্তার মোড়ে নামলেই ১০ টাকা। যদি ৩৫০ টাকা কাজ করে ৫০টাকা যাতায়াত খরচ করতে হয় তাহলে তো মরার উপর খাড়ার ঘা। ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রেও একটা বড় ধরণের প্রভাব ফেলছে। প্রতিনিয়ত সাধারণ দিনমজুরদের থেকে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠছে প্রতিনিয়ত।
তাই এই বিষয়টাকে ছোট করে না দেখে হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ জনগণের দুর্ভোগ নিরসন করার লক্ষ্য হরিপুরের গুরত্তপূর্ণ স্থান থেকে একটা নির্দিষ্ট গৌন্তব্য পর্যন্ত ভাড়ার তালিকা করে দিতে হবে। এবং প্রত্যেক অটোচালকরা সেই ভাড়া মোতাবেক ভাড়া নিবেন এমনটাই আশা হরিপুরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের।
সুত্রঃ এস আই সুমন (ফেসবুক)